• ৪ শ্রাবণ ১৪৩২, সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Swasthya Sathi

রাজ্য

স্বাস্থ্যসাথীর ‘জালিয়াতি’ নিয়ে বর্ধমানে এবার তদন্তে নামলো স্বাস্থ্য দফতর ও সিআইডি

স্বাস্থ্যসাথীর জালিয়াতি নিয়ে এবার তদন্তে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলার নির্দেশে জালিয়াতির তদন্তের জন্য বুধবার জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ(১) জগন্নাথ মণ্ডলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটি এদিন থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের তদন্তের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে।পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে জালিয়াতি করার অভিযোগে কাটোয়া গাঁফুলিয়া গ্রাম নিবাসী সালেহার বিবি নামে একজনকে সোমবার দুপুরে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে কাজে যুক্ত থাকা সালেহার বিবির জামাই নুরুল হাসান। তাঁরা এখন কাটোয়া থানায় পুলিস হেফাজতে রয়েছেন। ওই নার্সিংহোমের ডিরেক্টর আবির গুহকে পুলিশ থানায় দেখা করার জন্যে নোটিসও দিয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সিআইডির বর্ধমান শাখার একটি দল ওই নার্সিংহোমে গিয়ে খোঁজখবর নেয়। পুলিশ ওই নার্সিংহোম থেকে পাওয়া ১২৩টি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রতিলিপি স্বাস্থ্য দফতরকে জমা দিয়েছে। সেখানে পুলিশ জানিয়েছে, ৪২ জন রোগীর সন্ধান মিললেও বাকি ৮১টি কার্ডের প্রাপকদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন ,ওই ৮১টি কার্ডের ধরে যাবতীয় তথ্য খুঁজে বের করা হবে। কেন এতগুলি স্বাস্থসাথী কার্ড নার্সিংহোমে ছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা প্রতিটি কার্ডের প্রাপককে ফোন করে তা যাচাই করে দেখতে চাইছেন।এই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধেই অভিযোগজেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায় ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আগেও স্বাস্থ্যসাথী নিয়েই অভিযোগ উঠেছিল। ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট আইন না মানায় ওই নার্সিংহোমকে বন্ধও করে দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। সিআইডি জানিয়েছে, এ ব্যাপারে তারা একটি বিশদে রিপোর্ট ভবানী ভবনে পাঠাবে। সেখান থেকে নির্দেশ এলে সিআইডি তদন্তভার নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিন ওই নার্সিংহোমের ডিরেক্টর আবির গুহ বলেন, তদন্তকারী সব দলের কাছেই সব রকমের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। কয়েক দিন পরেই তো তদন্ত রিপোর্ট বেরিয়ে যাবে।

মার্চ ১৬, ২০২২
রাজ্য

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে নজিরবিহীন জালিয়াতি বর্ধমানে, গ্রেফতার জালিয়াত শাশুড়ি ও জামাই

সাধারণ মানুষ নিখরচায় যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পান তার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে নজিরবিহীন জালিয়াতির ঘটনা ঘটলো পূর্ব বর্ধমানে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা পরিবারের কারও অসুস্থ হয়ে পড়া বা অস্ত্রপচারের ঘটনা না ঘটলেও তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে মোটা টাকা।এমনই জালিয়াতি চক্রের পাণ্ডা সালেহার বিবি ও তাঁর সহযোগী মুন্সি নূর আলমকে সোমবার গ্রেফতার করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই পুলিশ এদিন বিকালে শহর বর্ধমানের খোসবাগানের একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিতে সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বেশ কিছু উপভোক্তার নামে থাকা স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড। এই ঘটনা জেলা প্রশাসনিক মহলেও শোরগোল ফেলে দিয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সালেহার বিবির বাড়ি কাটোয়া ১ ব্লকের আলমপুর পঞ্চায়েতের গাঁফুলিয়া গ্রামে। আপর ধৃত মুন্সি নূর আলম সম্পর্কে সালেহারের জামাই। পুলিশ বর্ধমানের ওই নার্সিংহোম থেকে নূর আলমকে এদিন গ্রেফতার করে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, গাঁফুলিয়া গ্রামের বেশ কিছু গরিব পরিবারের মহিলার কাছ থেকে তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সালেহার নিজের কাছে নিয়ে রাখেন। পরে সালেহার ও তাঁর সহযোগী মিলে জালিয়াতি করে ওইসব মহিলাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে অনুদানের মোটা টাকা তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। পুলিশ তদন্তে নামার পর অভিযোগের সত্যতা ধরা পড়লে সালেহার বিবিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় এই জালিয়াতি কাণ্ডে জড়িত সালেহারের জামাইকেও। জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, এটা বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা। এর তথ্য প্রমাণ আসার পর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড়া হবে না।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঁফুলিয়া গ্রামে থাকা সালেহার বিবির বাড়ি এদিন ঘেরাও করেন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা । তা নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। সেখানে থাকা বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে জানায়,গত দেড়মাস ধরে সালেহার বিবি এলাকার মহিলা ও পুরুষের বলে চলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তাঁকে জমা দিয়ে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে গিয়ে চেকআপ করালেই মিলবে ১০ হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকার লোভে পড়ে গাঁফুলিয়ার বেশকিছু মহিলা তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সালেহারকে জমা দেন। মেনকা বিবি নামে এক গ্রামবাসী বলেন, সালেহার বিবি বলেছিলেন তাঁর জামাই বর্ধমানের খোসবাগানের একটি নার্সিংহোমে কাজ করে। সেখানে একবার গেলেই হবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে ১২ হাজার উঠবে। তা থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে যাঁর নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তাঁকে।এই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধেই অভিযোগসালেহারের কথা মতো মেনকা বিবি সপ্তাহ দুয়েক আগে বর্ধমানের ওই নার্সিংহোমে যান। পরে মেনকা বিবি জানতে পারেন তার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে ৬১,৬০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। একইভাবে রিজিয়া বিবি নামে এলাকার অপর মহিলা জানতে পারেন তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে ৭৫,৬০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাটি মেনকা বিবি ও রিজিয়া স্থানীয় পঞ্চায়েতে গিয়ে জানান। পঞ্চায়েতের এক কর্মী ওই দুই মহিলার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পরীক্ষা করেন। পরীক্ষা করে তিনিও নিশ্চিত হন সত্যি সত্যি ওই মহিলাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে মোটা অঙ্কের সরকারি অনুদানের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত কর্মী এমনটা জানিয়ে দেওয়ার পর এদিন এলাকার লোকজন টাকা ফেরতের দাবিতে সালেহার বিবির বাড়িতে চড়াও হন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ১০ হাজার টাকার টোপ দিয়ে সালেহার বিবি ও তাঁর জামাই নূর আলম ৩৫ - ৪০ জনের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা জালিয়াতি করেছে।জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা বলেন, আমরাও প্রশাসনিক ভাবে এই ঘটনা বিষয়ে তদন্ত করবো। অন্যদিকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন ,ঘটনার কথা শুনেছি। এই বিষয়ে সবিস্তার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

মার্চ ১৪, ২০২২
রাজ্য

Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ’কাটমানি’ অভিযোগ, তদন্তে জেলা প্রশাসন

বিল পাশে কাটমানি মিলছে না বলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে বানচাল করতে চাইছে দুএকটি থার্ড পার্টি এজেন্সি (টি পি এ)।নএমনই অভিযোগ এনে পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে অভিযোগ জানালেন বর্ধমানের প্রগ্ৰেসিভ নার্সিংহোম এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি। অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা। সোমবার থেকে শুরু হল অভিযোগের তদন্ত।আরও পড়ুনঃ দিল্লি রওনার আগে বড় ঘোষণা মমতারমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের চিকিৎসা সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ দেবার ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে দুটি বিমা কোম্পানিকে। সেই বীমা কোম্পানিগুলির মধ্যে বীরভূমের এফএইচপিএল ইন্সুরেন্স কোম্পানি এই অনিয়ম করেছে বলে অভিযোগ বর্ধমানের প্রগ্ৰেসিভ নার্সিংহোম এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি সেখ আলাউদ্দিনের। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ডেপুটি সিওএমএইচ (১) এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সোমবার বিকালে বর্ধমানের বেসরকারী সান হাসপাতালে যান।আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের মমতার উপহার উৎসশ্রী আসলে কী? জানুনস্বাস্থ্য কর্তাদের ওই বেসরকারি হাসপাতালের অধিকর্তা মহম্মদ আলহাজউদ্দিন জানান, তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসার পুরো বিল অ্যাপ্রুভ না হওয়ায় রোগী ও তার পরিবারকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। চিকিৎসা হয়ে যাওয়ার পরেও সেই কারণে রোগীকে ছুটি দেওয়া যাচ্ছে না। ওই হাসপাতালে থাকা বাঁকুড়ার ইন্দাসের রোগী মুরারী ধারার ছেলে শম্ভু ধারা জানান, ব্রেন স্ট্রোকের রোগী হিসেবে গত ২৮ জুন তাঁর বাবা এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির সময়ে রোগী খুবই সঙ্কটাপন্ন ছিলেন। চিকিৎসা মেলার পর এখন তিনি সুস্থ। কিন্তু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছে, তাঁদের চিকিৎসার পুরো বিল টিপিএ ছাড়েনি। তাই রোগীকে এখন ছাড়া যাচ্ছে না। মহম্মদ আলহাজউদ্দিন এই প্রসঙ্গে বলেন রোগী স্বাস্থ্যসাথী, কার্ডে ভর্তি হয়। সিইউতে ভর্তি থাকা ও ওষুধ সহ তার চিকিৎসায় ৯৬ হাজার টাকা বিল হয়েছে। কিন্তু টিপিএদিতে চাইছে মাত্র ৩৪ হাজার টাকা। আলহাজউদ্দিনের অভিযোগ ওই টিপিএ ইচ্ছাকৃত ভাবে এই কাজ করছে। কাটমানি খাবার লোভে টিপিএ এই চক্রান্ত করছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছেন আলহাজউদ্দিন। তিনি দাবি করেছেন, টিপিএ কোম্পানিকে দ্রুত পরিবর্তন করুক রাজ্য সরকার।আরও পড়ুনঃ অলিম্পিক টিটির তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন শরথ কমলডেপুটি সিওএমএইচ(১) জগন্নাথ মণ্ডল বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর এদিন কাগজপত্র দেখা হল।রিপোট জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে দেওয়া হবে।

জুলাই ২৬, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

'অরুণিমা'র ছটায় স্কুল ড্রপআউট, বাল্যবিবাহ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মাতৃত্বের সংকট থেকে অন্ধকার দূরীকরণ লড়াই

পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এবং বেশ কিছু শহরতলি অঞ্চলে এক নতুন সামাজিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে - স্কুলছুট মেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে, যা পরোক্ষভাবে বাল্যবিবাহ এবং অল্পবয়সে সন্তান ধারণের হারকেও উদ্বুদ্ধ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তিনটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত এবং রাজ্যের নারী-স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সামগ্রিক উন্নয়নকেও প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করছে।রাজ্যের কিছু জেলার ৮ম শ্রেণি বা ১০ম শ্রেণির পর মেয়েদের স্কুলছুট হয়ে পড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আর্থিক অনটন, পরিবারের পুরাতন সামাজিক ধারণা, এবং বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব, এই সবই এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (NFHS-5) অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে এখনও প্রতি তিনটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে ১৮ বছরের আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরিবার স্কুলছুট মেয়েদের দায় মনে করে, এবং যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিবাহ দিয়ে দিতে চায়।এই বাল্যবিবাহের পরিণতি হিসেবে ১৬-১৮ বছরের বহু কিশোরী মা হয়ে উঠছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত না থাকা অবস্থায় মাতৃত্ব গ্রহণের ফলে বাড়ছে মাতৃমৃত্যুর হার, অপুষ্ট শিশু জন্ম এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য জটিলতা। সমাজতাত্ত্বিক ও শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, স্কুলশিক্ষার অকাল সমাপ্তি মানে শুধু পড়াশোনার শেষ নয়এটা একসময়ে সেই কিশোরীর আত্মবিশ্বাস, স্বাস্থ্য, স্বপ্ন, এমনকি জীবনের নিরাপত্তার পরিণতিও নির্ধারণ করে দেয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন কন্যাশ্রী ও সবলা মতো সামাজিক প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার চালু করেছে, অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রকল্পগুলি তথ্যের অভাবে সর্বস্তরে পৌঁছায় না। বিদ্যালয়স্তরে মনোবিদ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ঠিক সেই সমস্যার গভীরে গিয়ে তার গুরুত্ব বুঝে জেলার সদর শহর থেকে ২৫ কিমি দুরে এক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের এক শিক্ষিকার লড়াইকে সম্বর্ধিত করল স্থানীয় প্রশাসন।১৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-২ ব্লকের পাহাড়হাটী বাবুরাম গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অরুণিমা মুখোপাধ্যায়কে মেমারি-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাল্যবিবাহ-রোধ, স্কুলছুট মেয়েদের আবার পড়াশোনার আবহে ফিরিয়ে আনা ও স্কুলের মেয়েদের বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষিত করা এবং সার্বিক শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সম্বর্ধিত করা হয়। অরুণিমা নিজে একজন প্রথিতযশা নৃত্য শিল্পী। কত্থক নৃত্যে রাজ্যস্তরে বহু গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে সুনিপুণ নৃত্যকলা পরিবেশন করেছেন। বর্তমানে তাঁর স্কুল বাবুরাম গার্লস হাই স্কুলে-ই তাঁর ধ্যানজ্ঞান শিক্ষিকা অরুণিমা মুখোপাধ্যায় জনতার কথাকে বলেন, আমি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলের একজন শিক্ষিকা। গত আট বছর ধরেই আমি স্কুল ছুট এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে চলেছি সক্রিয়ভাবে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলে একটি কন্যাশ্রী আনন্দ ক্লাব গঠন করেছি। তার সদস্যরা আমাদেরই ছাত্রী। তাদেরকে নিয়ে নিরলসভাবে এই কাজটি করে চলেছি। অরুণিমা বলেন, প্রান্তিক পরিবার এবং গরিব পরিবারের মেয়েরা যেহেতু বাল্যবিবাহে বেশি জড়িয়ে পড়ছে, তাই তাদেরকে স্কুল শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে আনা আমার মূল লক্ষ্য এবং পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে আমি সচেতন করার চেষ্টা করে চলেছি। চাইল্ড ম্যারেজ এবং চাইল্ড প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে তাদের মেয়ের জীবনটা কতখানি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে পরবর্তীকালে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করছি। অনেকজনকেই ফিরিয়ে আনতে পেরেছি ক্লাসরুমে। তিনি জানান, মেমারি-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সম্বর্ধনা পেয়েছি এতে আমি খুবই আনন্দিত এবং আপ্লুত। এই পুরস্কার আমাদের লড়াইকে আরও জোড়ালো করতে সাহায্য করবে। অরুণিমা জানান, এই কাজে আমি সবসময়ই মেমারি-২ নম্বর ব্লক প্রশাসন, এসআই অফিস, বিজুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে পাশে পাচ্ছি। সর্বোপরি আমার পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলের সহকর্মী ও বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সকল সদস্যদের পাশে পাচ্ছি। অরুণিমা বলেন, আমাদের এই লড়াই যাঁদের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হত না সেই ছাত্রীদের সাহায্য সবচেয়ে বেশী পাচ্ছি। তারা নিজেদের মধ্যেই সচতেনতা প্রসার করছে সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা এবং খুবই আনন্দের বিষয়। তিনি জানান, একজন শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ের প্রধান হিসাবে এটা আমার প্রাথমিক দায়িত্ব। তিনি অঙ্গীকার করেন, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ও শিক্ষা ও সচতেনতা বাড়ানোর এই প্রয়াস তাঁর অব্যহত থাকবে।

জুলাই ১৯, ২০২৫
দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় চেয়ারপারর্সন ও দুজন ভাইস চেয়ারপারর্সনের নাম ঘোষণা

বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ২জন ভাই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হয়েছেন উজ্জ্বল প্রামানিক। জামালপুরের বিধায়ক ছিলেন। ভাইস চেয়রাম্যান দুজন হলেন কাকলি তা গুপ্তা ও আইনুল হক। এর আগে বিডিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন কাকলি তা গুপ্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক। চেয়ারপার্সন থেকে ভাইস চেয়ারপার্সন হয়ে গেলেন কাকলি তা গুপ্তা। আগের পদে রইলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক।

জুলাই ১৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal